some common questions and answers

  • Domain Fund Add?

    আপনি আপনার রিসেলার অ্যাকাউন্ট এ লগিন করার পর settings> manage product and pricing এই অপশন এ গিয়ে আপনার নেওয়া সেবাগুলি কত দামে পাচ্ছেন আমাদের থেকে সেটা দেখতে পারবেন।

    ফান্ড সে অনুযায়ী অ্যাড আপনি করতে পারেন। তবে চাইলে অতিরিক্ত ফান্ড অ্যাড করতে পারবেন সেটা আপনার অ্যাকাউন্ট এ থাকবে যা পরবর্তীতে ব্যবহার করতে পারবেন।

  • 403 Forbidden?
    1. স্যার আপনি “কন্ট্রোল প্যানেল” থেকে ডোমেইন ট্রান্সফার করতে পারবেন। প্রথমে আপনাকে “কন্ট্রোল প্যানেল” এ গিয়ে “Registrar Lock” এ ক্লিক করতে হবে, তারপর “Disable Registrar Lock” এ ক্লিক করতে হবে। তারপর “Get EPP Code” এ ক্লিক করতে হবে এবং যেখানে ট্রান্সফার করবেন সেখানে “EPP Code” টি প্রদান করবেন।
  • ID Protection কি?

    আপনি যখন কোন ডোমেইন কিনবেন তখন আপনাকে অবশ্যই আপনার নাম,ই-মেইল, ঠিকানা সহ যাবতীয় বেশ কিছু তথ্য প্রদান করতে হবে। সাধারণত আপনার এই তথ্য গুলো যে কেউ দেখতে পারবে। এখন আপনি যদি চান আপনার এই তথ্য গুলো সবার জন্য ওপেন রাখবেন না তাহলে আপনি একটি মেথডের মাধ্যমে এটা গোপন করতে পারেন। আর সেটাই হলো ID Protection. এটা এক্টিভেট করার মাধ্যমে আপনার ডাটা আপনি গোপন করে রাখতে পারেন।

  • ID Protection কেন প্রয়োজন?

    সাধারণত আমরা আমাদের সকল গ্রাহকদের ID Protection নেওয়ার জন্য রিকমেন্ড করে থাকি। কেননা, এর মাধ্যমে আপনি সকল ধরনের স্ক্যামিং বা স্পামিং এর হাত থেকে রক্ষা পাবেন। যতটা সম্ভব আপনার ব্যক্তিগত তথ্য গোপন রাখাই ভাল।

  • Domain কি?

    ডোমেইন বা ডোমেইন নাম বলতে সাধারনভাবে কোন একটা ওয়েবসাইটের নামকে বোঝায়।

    যেমন: www.facebook.com

    www.youtube.com

    www.google.com এর সব গুলোই হলো ডোমেইন নেম।

  • Domain extension কি?

    সাধারণত Domain Name এর শেষে যে অংশ সেটাকেই Domain extension বলা হয়। যেমন: www.facebook.com এখানে facebook হলো main domain name আর .com হলো এই Domain এর extension

  • Hosting কি?

    ইন্টারনেটে যেকোনো ওয়েবসাইট, app বা ব্লগ চালু করার জন্য আপনার সর্ব প্রথমে, তাদের রাখার জন্য একটি জায়গা কিনতে হবে। এবং, আপনি কিনেনেয়া সেই জায়গাকেই ওয়েব হোস্টিং  (web hosting) বলা হয়। নিজের ওয়েবসাইটের জন্য জায়গা বা হোস্টিং  যেখানথেকে কিনবেন তাকে আপনার ওয়েবসাইটের হোস্ট (host) বলা হয়।

  • হোস্টিং কত প্রকার?

    হোস্টিং অনেক প্রকার রয়েছে। এর যেগুলো সব চেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয় সেগুলোর নাম আমি নিচে বলে দিয়েছি। ব্লগ বা ওয়েবসাইটে যেগুলোকে বেশি ব্যবহার হয় সেগুলো হলো-

    • শেয়ার হোস্টিং (share hosting)
    • ভার্চুয়াল প্রাইভেট হোস্টিং(V.P.S – virtual private server)
    • ডেডিকেটেড হোস্টিং (dedicated hosting)
    • ক্লাউড হোস্টিং (cloud hosting)
  • শেয়ার হোস্টিং কি? (What is share hosting)

    শেয়ার হোস্টিং মানে হলো, ওয়েব হোস্টিং কে বলা হয় শেয়ার করা। মানে একটি ওয়েব সার্ভার অনেক গুলো গুলো ওয়েবসাইট শেয়ার করবেন। মনে করুন আপনার একটি ঘর রয়েছে, সেখানে আপনারা ফ্যামিলির সকল সদস্যরা এক সাথে শেয়ার করে বা ভাগ করে থাকছেন।

    এখানে আপনার ঘরটি হলো একটি ওয়েব সার্ভার (web server) এবং আপনি ও আপনার ফ্যামিলি হলো যারা ভাগ করে থাকছেন তারা হলো একটি একটি ওয়েবসাইট।

    এতে আপনার লাভ হলো আপনার ঘর ভাড়া ফ্যামিলি সবাই মিলে দিতে পারবেন। এতে আপনার টাকা কম খরচ হবে। শেয়ার হোস্টিং এর ক্ষেত্রে একটি ওয়েব সার্ভারে এক সাথে অনেক গুলো ওয়েবসাইট শেয়ার করতে পারবে এবং যার ফলে আপনার অনেক কম টাকা খরচ হবে।

  • ভার্চুয়াল প্রাইভেট হোস্টিং কি?

    ভার্চুয়াল প্রাইভেট গুলো শেয়ার হোস্টিং এর তুলনায় হাজার হাজার গুন ভালো। আসলে এই সার্ভার আমরা তখনই ব্যবহার করি যখন আমাদের ওয়েবসাইট ভালো পরিমানে ভিজিটর্স আসে।

    এক কথায় আমাদের ওয়েবসাইট যখন পুপলার হয়ে যায় তখন virtual private server ব্যবহার করা হয়। প্রথম অবস্থায় V.P.S ব্যবহার করার কোনো প্রয়োজন আসে না।

    ভিপিএস (VPS) হোস্টিং বলতে আমরা কী বুঝি? মনে করুন, আপনার একটি বিল্ডিং এ অনেক গুলো রুম রয়েছে। ঠিক সেই ভাবে এই প্রকারের হোস্টিং সার্ভার গুলো ভাগ করা হয়।

    যেখানে আপনার কিনে নেওয়া রুমে শুধু আপনার সেভাবে v.p.s সার্ভারে শুধুমাত্র আপনার ওয়েবসাইটের অধিকার থাকবে। এখানে আপনি যে ভাগ কিনে নিবেন সেটা শুরু আপনি নিজে ব্যবহার করতে পারবেন।

    এটা প্রাইভেট ওয়েব সার্ভারের মতো। যার কারণে এই হোস্টিং গুলো অনেক দ্রুত কাজ করে। এবং ভিজিটর্স বা ট্রাফিক থাকার জন্য বেশ লাভজনক বলে বলা হয়।

  • ডেডিকেটেড হোস্টিং কি?

    ডেডিকেটেড হোস্টিং অন্য অন্য হোস্টিং এর তুলনায় সম্পর্ন ভিন্ন। কারণ, শেয়ার হোস্টিং এর আপনি একসাথে অনেক গুলো ওয়েবসাইট শেয়ার করতে পারবেন। আবার vps server এ আপনাকে একটি ভাগ দিতে হবে।

    তবে, আপনি যদি ডেডিকেটেড হোস্টিং ব্যবহার করেন তাহালে সম্পূর্ণ সার্ভারটি শুধু আপনাকে দেওয়া হবে এবং এটার ভাগ আপনাকে কাউকে দিতে হবে না। এই সার্ভারে কেবল আপনার ওয়েবসাইটকে হোস্ট করা হবে।

    যেমন, এখানে আপনি কেবল একটি রুম নয় বরং আপনি কেবল পুরো বিল্ডিংটা কিনে নিলেন। এতে শুধুমাত্র আপনার অধিকার থাকবে, অন্য কেউ ভাগ নিতে পারবে না।

    ডেডিকেটেড হোস্টিং এর ক্ষেত্রে কেবল একটি মাত্র ওয়েবসাইট হোস্ট করা থাকে বলে সেই ওয়েবসাইটটি অনেক গুনে ফাস্ট হয়। তাছাড়া নিরাপত্তার দিক থেকে ১০০% শিয়র থাকা যায়।

    আপনি কেবল তখন এই হোস্টিং ব্যবহার করবেন যখন আপনার ওয়েবসাইটে প্রচুর সংখ্যাক ট্রাফিক আসতে থাকবে। আর মনে রাখবেন এই হোস্টিং এর দাম কিন্ত অনেক বেশি।

  • ডোমেইন-এর মেয়াদ শেষ হওয়ার কতদিন পর পুনরায় বিক্রয়ের জন্য প্রস্তুত হয়?

    ডোমেইন এর নিয়ম অনুসারে, একটি ডোমেইন ১-১০ বছর পর্যন্ত রেজি করা যায়।

    একটি ডোমেইন এক্সপায়ার হবার পর ১-৩০ ক্ষেত্র বিশেষে ৩৫ দিন পর্যন্ত এক্সপায়ার অবস্থায় থাকে।

    এর পর রিডামশন পিরিয়ড এ চলে যায়। এই সময় কাল ২০-৩০-৪০ দিন হয়। এই সময় আপনি রিনিউ করতে পারবেন না তবে রিস্টোর করতে পারবেন, তবে এই রিস্টোর ফি টা ডোমেইন এর দাম এর ৮-১০ গুন হয়ে থাকে, অনেক সময় এর থেকে বেশি হয়ে থাকে। এছাড়া এই সময় চাইলে ডোমেইন কোম্পানি এটিকে অকশনে দিয়ে দিতে পারে, সব প্রভাইডার যদিও এইটা করে না কিন্তু Godaddy সহ কিছু প্রতিষ্ঠান এই কাজ করে। তাই অকশন থেকে সেল হয়ে গেলে সেই ডোমেইন অন্য কারো হয়ে যায়। এবং ডোমেইনের মেয়াদ নতুন করে শুরু হয় না, আপনি যেদিন কিনেছিলেন সেই দিন ঠিকই কাউন্ট হয়, এইটা কিন্তু ভালই প্লাস পয়েন্ট।

    এর পরের সময়টা হচ্ছে ডিলেশন এর সময়। এই সময় ডোমেইন টি ডিলেট হবার জন্য অপেক্ষা করে। এটি ৩-১০ দিন সময় নিয়ে থাকে।

    ডিলেশন শেষ হয়ে গেলে ডোমেইন টি নতুন রেজিস্ট্রেশন এর জন্য খুলে দেওয়া হয়।

    নোট: উল্লেখ্য যে ডোমেইন অনেক সময় অকশন এ না গেলেও ব্যাকঅর্ডার এর মাধ্যমে অনেকে কিনে নেয়, তাই পেন্ডিং অর্ডার পর্যন্ত যাবার পরও ডোমেইন ডিলেট হবার পরেও আপনি নতুন করে রেজি করার চেষ্টা করতে পারবেন না। তাই আপনি নিজেই চাইলে backordar করে রাখতে পারেন, এইটা কিছুটা সেফ।

  • আমাদের থেকে সাইট লোড নিচ্ছে কিন্ত ক্লায়েন্ট এর থেকে লোড নেয় না।

    স্যার সেক্ষেত্রে আপনি কিছু বিষয় চেষ্টা করে দেখতে পারেন।

    1. Incognito window তে চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
    2. অন্য browser ব্যবহার করে দেখতে পারেন।
    3. ডিভাইস পরিবর্তন করে দেখতে পারেন।
    4. VPN দিয়ে চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
  • ওয়ার্ডপ্রেস হোস্টিং কি?

    ওয়ার্ডপ্রেস হোস্টিং হচ্ছে এমন একটি হোস্টিং যা ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটকে সম্পূর্ণরূপে অপটিমাইজ করে। সেই সাথে ওয়েবসাইটের সিকিউরিটি নিশ্চিত করে এবং বেটার পারফর্মেন্স দেয়। ওয়ার্ডপ্রেস হোস্টিং আরো একটি ব্যাপার নিশ্চিত করে আর সেটি হচ্ছে এক ক্লিকেই ওয়ার্ডপ্রেস ইনস্টল। আর এটি ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহারকারীকে ওয়েবসাইট তৈরিতে বাড়তি সুবিধা প্রদান করে। এমনকি, কিছু ওয়ার্ডপ্রেস হোস্টিং অটোমেটিক ওয়ার্ডপ্রেস আফডেট করে দেয়।

  • বিজনেস ইমেইল কি?

    বিজনেস ইমেইল হলো এমন একটি মেইল সিস্টেম যেখানে @ এর পর আপনার ব্র্যান্ড এর এক্সটেনশন সহ ডোমেইন নেম থাকবে। যেমন oparetion@yourdomain.com, selas@brandname.com/net/org ইত্যাদি।

  • বিজনেস মেইল এর কাজ কি?

    Business Mail অনেক কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এটি আপনার ব্র্যান্ডের পরিচয় বহন করে। আপনার বিজনেসের প্রফেশনালিজম রক্ষা করে। চলুন বিজনেস মেইল এর কাজ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।

  • সি প্যানেল কি?

    cPanel একটি ওয়েব হোস্টিং কন্ট্রোল প্যানেল। অর্থাৎ সি প্যানেল একটি ওয়েব হোস্টিং কন্ট্রোল প্যানেল সফটওয়্যার। এটি তৈরি করেছে সি প্যানেল এল এল সি নামক কোম্পানি।

  • রিসেলার হোস্টিং কি?

    রিসেলার হোস্টিং অনেকটাই শেয়ারর্ড হোস্টিং সার্ভিসের মত। তবে এখানে আপনি আলাদা আলাদা প্যাকেজ বানিয়ে তা বিক্রি করতে পারবেন। অর্থাৎ আপনি একটি রিসেলার হোস্টিং প্যাকেজ কিনে সেখানে আলাদা আলাদা শেয়ারর্ড হোস্টিং প্যাকেজ তৈরি করে হোস্টিং কোম্পানির মতই বিক্রি করতে পারবেন।

  • DNS Propagation কি?

    কোন ডোমেইনের নেমসার্ভার যখন আপডেট করা হয় অথবা DNS রেকর্ড আপডেট করা হয়, তখন আমরা পরিবর্তনগুলো ওয়েবসাইট ব্রাউজ করার সময় তাৎক্ষনিক দেখতে পারি না, কারণ এই পরিবর্তন সাথে সাথে আপডেট হয় না, এটি তখনো ওয়েবসাইট এর আগের রুপে বা আগের IP Address এ শো করায় । এ রকম হবার কারণ হলো ওয়েবসাইট এর Cache প্রতিটি লোকাল ISP হতে শুরু করে মেইন সার্ভার পর্যন্ত জমা থাকে । আপনার ওয়েবসাইটে পরিবর্তনগুলো সকল Intermediary Network এ সঠিকভাবে না যাওয়ার কারনে এমনটি ঘটে, একে DNS Propagation বলে।

    আমরা ইন্টারনেটে কোন ওয়েবসাইট সার্চ করলে এটি প্রথমে মেইন সার্ভারে যায় না, এটি একাধিক লোকাল ISP Network এর মধ্যে দিয়ে মেইন সার্ভার এ যায়। এই ISP গুলোর ইন্টার্নাল IP ক্যাশিং সিস্টেম রয়েছে যা একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য আগের ভিজিট করা ওয়েবসাইটের IP এড্রেস স্টোর করে, যা ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত হতে পারে। এ কারণেই কখনো কখনো নতুন DNS পরিবর্তন গুলো সম্পূর্ণভাবে Propagated হতে ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত সময় নেয় আবার অনেক সময় ২৪-৪৮ ঘন্টার পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।

  • নেম সার্ভার কি?

    DNS (Domain Name System) এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো নেমসার্ভার। নেম সার্ভার এর মাধ্যমে ডোমেইন কে হোস্টিং এর সাথে কানেক্ট করা হয়। এটি সার্ভার হিসাবে কাজ করে যেখানে নির্দিষ্ট পরিমানে কিছু ডাটা সংরক্ষণ করা হয়। আমরা জানি কম্পিউটার বাইনারি ছাড়া কিছু বোঝেনা অর্থাৎ IP অ্যাড্রেস ছাড়া কিছু বোঝেনা, আর প্রতিটি ডোমেইন এর একটি Unique IP address রয়েছে। এই জন্য ডোমেইন কে হোস্টিং এর সাথে নেম সার্ভার দ্বারা সংযুক্ত করা হয়। কোন ডোমেইন কোন IP Address এর সাথে সংযুক্ত রয়েছে তা সংরক্ষিত থাকে নেম সার্ভারে। অর্থাৎ নেম সার্ভারের মাধমে হোস্টিং থেকে ডাটা ওয়েবসাইট এ শো করানো হয়।

  • SSL কি?

    এসএসএল (SSL )এর অর্থ SECURE SOCKETS LAYER , ওয়েবসাইটে ক্রেতার তথ্য সুরক্ষিত রাখার একটি ভাগ কিংবা স্তর বলা যেতে পারে এই এসএসএল‘কে । SSL ইন্টারনেট মাধ্যমে প্রেরিত সকল তথ্য কিংবা ডাটাকে সুরক্ষিত রাখে এবং ক্রেতা কিংবা সেই ওয়েবসাইট থেকে সেবা গ্রহণকারীকে সকল তথ্য নিরাপদ রাখে ।

  • SSL এর কাজ কি?

    SSL Certificate হলো ওয়েব সার্ভার এর একটি বিট কোড যা ওয়েবসাইট এবং ব্যবহারকারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। ব্রাউজারে যখন ওয়েবসাইট সার্চ করা হয় তখন SSL সার্টিফিকেট একটি এনক্রিপ্টেড সংযোগ নিশ্চিত করে ইউজার এবং ওয়েবসাইট এর মধ্যে। এই প্রসেসকে আমরা আগের যুগের খাম এর ভিতরে চিঠি তুলে বার্তা পাঠানোর সাথে তুলনা করতে পারি।

  • SSL প্রকারভেদ।

    SSL Certificate একটি Digital Certificate যা দুইটি Endpoint এর মাঝে Encrypted সংযোগ স্থাপন করে। কাজের ধরনের উপরে ভিত্তি করে SSL এর সাধারনত ৫ টি প্রকারভেদ রয়েছে।

    • EV SSL
    • OV SSL
    • DV SSL
    • Wildcard SSL
    • Multi-Domain SSL
  • IP অ্যাড্রেস কি?

    IP অ্যাড্রেস এর পূর্ণ রুপ হল “Internet Protocol” যার বাংলা অর্থ Internet ব্যবহার করার নিয়ম নিতি। আমরা যখন Internet ব্যবহার করি তখন আমাদের এই নিয়ম নিতি আনুসরন করেই ব্যবহার করতে হয়।

    Internet ব্যবহার করার জন্য প্রত্যেকটি ডিভাইস এর একটি  IP অ্যাড্রেসের সাথে যুক্ত হতে হয়, অর্থাৎ প্রতিটি ডিভাইস Internet এর সাথে সংযুক্ত হবার জন্য আলাদা আলাদা IP অ্যাড্রেস ব্যবহার করে। যেটি দেখতে এই রকম 192.168.10.20 সংখ্যার হয়ে থাকে। এই লিঙ্ক  ভিজিট করে আপনি আপনার নিজের ডিভাইস এর  IP অ্যাড্রেস দেখতে পারবেন।

  • উইন্ডোজ হোস্টিং কি?

    হোস্টিং কে অপারেটিং সিস্টেম অনুযায়ী ভাগ করলে দুইটি ভাগ পাওয়া যায়। প্রথমটি হলো লিনাক্স হোস্টিং এবং দ্বিতীয়টি হলো উইন্ডোজ হোস্টিং। সাধারণত উইন্ডোজ হোস্টিং গুলো পরিচালিত উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম দ্বারা। এখানে উইন্ডোজে সাপোর্ট করে এমন সকল সফটওয়্যার এবং টুল ইন্সটল করে কাজ করা যায়।

    সহজ করে বলতে গেলে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে পরিচালিত সার্ভারকে উইন্ডোজ হোস্টিং বলে। বিশ্বে সবথেকে বেশি লিনাক্স হোস্টিং জনপ্রিয় হলেও বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে উইন্ডোজ হোস্টিং প্রয়োজন পড়ে।

  • আরডিপি কি?

    RDP(Remote Desktop Protocol) যা মাইক্রোসফট এর একটি সার্ভিস। আমরা যেমন আইপি বা ইন্টারনেট প্রোটোকল সম্পর্কে ধারণা রাখি আরডিপি ঠিক তেমনি একটি প্রোটোকল। আরডিপি প্রোটোকল মূলত উইন্ডোজ এর রিমোট ডেক্সটপ কানেকশন সার্ভিস ব্যবহার করার জন্য। অর্থাৎ উইন্ডোজ কম্পিউটারে রিমোট অ্যাক্সেস নেওয়ার জন্য এই প্রোটোকল ইউজ করা হয়। তবে আরডিপি এখন শুধু উইন্ডোজ সিস্টেমের সাথেই কাজ করে তা না। উইন্ডোজ বাদে ম্যাক এবং লিনাক্সে সরাসরি এবং থার্ড পার্টি সফটওয়্যারের মাধ্যমে রিমোট ডেক্সটপ কানেকশন ইউজ করা হচ্ছে।

    বর্তমান সময়ে পুরো বিশ্বে ৪.৫ মিলিয়ন আরডিপি সার্ভার সক্রিয় আছে। এই ভার্চুয়াল পিসি পরিচালনা করার জন্য এই প্রোটোকল সবথেকে বেশি ব্যবহার করা হয়। রিমোট ডেক্সটপ সফটওয়্যার গুলো কাজ করার জন্য RDP এর পাশাপাশি Independent Computing Architecture (ICA) এবং virtual network computing (VNC) এই দুইটি প্রোটোকল ব্যবহার করে থাকে। তবে এদের মধ্যে RDP সবথেকে বেশি জনপ্রিয়।

  • আরডিপি এর কাজ কি?

    আমরা আগেই জেনেছি যে আরডিপি একটি কানেকশন প্রোটোকল যা রিমোট ডেক্সটপ সফটওয়্যারে ইউজ করা হয়। RDP তে এমন কানেকশন টেকনোলোজি ইউজ করা হয় যা একটি ভার্চুয়াল কম্পিউটারকে লোকাল বা ফিজিক্যাল ভাবে ব্যবহার করার মত অভিজ্ঞতা দেয়। অর্থাৎ আপনি আপনার লোকাল উইন্ডোজ কম্পিউটারে একই রুমে অন্য একটি উইন্ডোজ কম্পিউটার ইউজ করার মত সুবিধা পাবেন তাও আবার ভার্চুয়ালি।

    একটি আরডিপি কানেকশন সম্পন্ন হয় ৬৪ হাজার ইউনিক চ্যানেলের মাধ্যমে। একটি RDP কানেকশন যখন চালু হয় তখন তা রিমোট সার্ভারে থাকা আউটপুট ডিভাইস যেমন মনিটর ক্লাইন্ট সার্ভারে (লোকাল উইন্ডোজ কম্পিউটার) প্রেরণ করে। অন্যদিকে ক্লাইন্ট সার্ভারে থাকা মাউস ও কীবোর্ড ডিভাইস রিমোট সার্ভারে প্রেরণ করে। এতে ক্লাইন্ট সার্ভারের মাউস ও কিবোর্ড দিয়ে রিমোট সার্ভারে যা করা হয় তা রিমোট সার্ভারের মনিটরে প্রদর্শিত হয়।

    এই সম্পন্ন প্রসেস পরিচালিত হতে যে কানেকশনের আদান-প্রদান হয় তা RSA’s RC4 block cipher ক্রিপ্টোগ্রাফিতে এনক্রিপ্ট হয়। এই এনক্রিপশন ইউজ হওয়ার কারনে ডাটা নিয়ে তেমন চিন্তা করতে হয়না। তো মোটকথা RDP এর প্রধান কাজ হলো রিমোট ডেক্সটপ কানেকশন এর মাধ্যমে অন্য কম্পিউটারের গ্রাফিক্যাল ইন্টারফেস ইউজ করা।

  • ক্লাউডফ্লেয়ার কি?

    সিডিএন হিসেবে বর্তমানে যতগুলো সার্ভিস প্রচলিত আছে ক্লাউডফ্লেয়ার তাদের মধ্যে সবথেকে জনপ্রিয়। একটি সিডিএন এ যে সকল ফিচার থাকা দরকার ক্লাউডফ্লেয়ারে তার থেকেও অনেক কিছু বেশি আছে। বর্তমানে সারা বিশ্বে তাদের মোট ২০০ শহরে ক্লাউডফ্লেয়ার ক্যাশ সার্ভার ****রয়েছে। ক্লাউডফ্লেয়ার সার্ভিস ইউজ করে এমন ইন্টারনেট প্রোপার্টির সংখ্যা বর্তমানে ২৫ মিলিয়নের বেশি। প্রতি সেকেন্ডে তারা ২১ মিলিয়ন এইচটিটিপি রিকোয়েস্ট হ্যান্ডেল করে। যার কারণে তারা অনেক বড় বড় ডিডস অ্যাটাক ম্যানেজ করতে পারে।

    ক্লাউডফ্লেয়ার তাদের সার্ভিস দেওয়ার জন্য রিভার্স প্রক্সি সিস্টেম ইউজ করে। ক্লাউডফ্লেয়ার এর ডিএনএস স্পীড গুগলের ডিএনএসের থেকেও অনেক বেশি। তাদের ডিফল্ট ডিএনএস 1.1.1.1 এবং এটি সম্পূর্ণ ফ্রী। এই ডিএনএস ইউজ করার জন্য আপনার ডোমেইন কন্ট্রোল প্যানেলে ক্লাউডফ্লেয়ারের নেম সার্ভার অ্যাড করতে হবে ।

  • ক্লাউডফ্লেয়ার কিভাবে কাজ করে?

    আমরা যখন ওয়েব ব্রাউজারে কোন ওয়েবসাইট অ্যাড্রেস এন্টার করি তখন তা ইন্টারনেটের মাধ্যমে সার্ভারে পেজ রিকোয়েস্ট করে। প্রচলিত পদ্ধতিতে এই রিকোয়েস্ট সরাসরি সার্ভারে চলে যায় এবং সেখান থেকে সরাসরি ক্লাইন্ট সার্ভারে রিটার্ন আসে। কিন্তু ক্লাউডফ্লেয়ার ইউজ করলে সেই রিকোয়েস্ট ক্লাউডফ্লেয়ারের ক্যাশিং সার্ভারে উক্ত পেজের ক্যাশ করা ভার্সন থেকে রেজাল্ট শো করে।

    এতে একসাথে অনেক গুলো রিকোয়েস্ট একটি সেম পেজে করলেও তা সরাসরি মেইন সার্ভারে কোন রিকোয়েস্ট পাঠায় না। এতে সার্ভার ক্রাশ করার সম্ভাবনা একেবারে কমে যায় এবং সার্ভারের অতিরিক্ত ব্যান্ডউইথ খরচ হয়না। এখানে কনটেন্ট যেহেতু ক্যাশ সার্ভার থেকে লোড করা হয় এবং লোকাল ক্যাশ সার্ভার থেকে ক্লাইন্ট ডিভাইসে শো করে সেহেতু প্রতিটি পেজ অতি দ্রুত লোড হয়। ক্লাউডফ্লেয়ার সরাসরি ওরিজিন সার্ভারের মাধ্যমে কাজ না করে এজ সার্ভারের মাধ্যমে কাজ করে। এতে ওরিজিন সার্ভারের উপর চাপ কমে এবং ওয়েবসাইটের স্পীড, সিকিউরিটি এবং ব্যান্ডউইথ সঠিক ভাবে মেইন্টেইন করা সম্ভব হয়।

  • সিডিএন কি?

    কনটেন্ট ডেলিভারি নেটওয়ার্ক এর সংক্ষিপ্ত রুপ হলো সিডিএন। সংক্ষেপে বর্ণনা করতে গেলে সিডিএন হলো একটি সিস্টেম যা ইউজারকে কনটেন্ট ডেলিভারি করে। বিস্তারিত ভাবে বলতে গেলে সিডিএন হলো এমন একটি ব্যবস্থা যা অনেকটা ওয়েব সার্ভারের মত কিন্তু এতে সাধারণ সার্ভারের মত ফাইল ষ্টোর করা যায় না।

    সাধারণ সার্ভার গুলোয় ওয়েবসাইটের ফিজিক্যাল ফাইল ষ্টোর করা হয় যা আমরা বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে দেখতে পাই। কিন্তু সিডিএন ওয়েবসাইটে সেই একই ফাইল দেখায় তবে তাদের নিজস্ব জিওলজিক্যাল সার্ভার থেকে।

    অর্থাৎ একটি ওয়েবসাইট যখন সিডিএন ইউজ করে তখন আপনি সেই ওয়েবসাইট ভিজিট করলে উক্ত ওয়েবসাইটের একটি কপি দেখতে পাবেন যা মেইন সার্ভার থেকে ক্যাশ করা। আপনি যখন ব্রাউজারে কোন পেজ দেখার রিকোয়েস্ট করেন তখন সে রিকোয়েস্ট আপনার লোকেশনের কাছাকাছি সিডিএন সার্ভার খুঁজে বের করে। সার্ভার খুঁজে সেখান থেকে আপনার রিকোয়েস্ট করা পেজ দেখায়।

    এখানে আপনার কাছাকাছি সার্ভার খুঁজে পাওয়ার কারণে আপনার ইন্টারনেট স্পীড স্লো হলেও দ্রুত পেজ লোড হয়। আরও পরিষ্কার করে আলোচনা করলে বিষয়টি আরও সহজে বোঝা যাবে। ধরুন আপনার একটি ওয়েবসাইট আছে যা ইংল্যান্ডের একটি সার্ভারে হোস্ট করা আছে। কিন্তু আপনার সকল ভিজিটর এশিয়া থেকে আসে।

    তাহলে কেউ যদি আপনার ওয়েবসাইট দেখতে চায় তাহলে ব্রাউজার পেজ রিকোয়েস্ট সেন্ড করার পর তা অনেক রাস্তা পাড়ি দিয়ে ইংল্যান্ডে যাবে এবং উক্ত পেজ নিয়ে সেই একই দূরত্ব অতিক্রম করে ব্রাউজারে শো করবে। আমরা জানি ইন্টারনেটে ডাটা আদান প্রদান হয় আলোর মাধ্যমে।

    বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে কখনো কোন কমিউনিকেশন সিগন্যাল আলোর গতির থেকে দ্রুত যেতে পারে না। এদিক থেকে ইন্টারনেট ডাটার গতি কিন্তু লিমিটেড। এই লিমিটেড স্পীডের কারণে দূরত্ব যত বেশি হয় স্পীড তত কম হয়।

    কিন্তু যদি সেই একই ওয়েবসাইট আপনার ইউজারের লোকেশনের আসে পাশের কোন সার্ভার থেকে ব্রাউজারে শো করানো যায় তাহলে কিন্তু অনেক দ্রুত পেজ লোড হবে। এই চিন্তা ভাবনা থেকেই সিডিএন প্রযুক্তির উদ্ভাবন করা হয়।

  • সিডিএন কিভাবে কাজ করে?

    সিডিএন সাধারণত তিনটি পদ্ধতিতে কাজ করে। কনটেন্টকে ভিজিটরের কাছাকাছি নিয়ে আসার জন্য এখানে PoPs বা Point of Presence পদ্ধতি ইউজ করা হয়। অর্থাৎ একসাথে অনেকগুলো ক্যাশিং সার্ভার নিয়ে অনেকটা ডাটা সেন্টারের মত তৈরি করা হয়। প্রতিটি ডাটা সেন্টার বিশ্বের বিভিন্ন দেশে স্থাপন করা হয়, এভাবে ফাইল আদান প্রদানের পুরো রাস্তা কমিয়ে আনা হয়।

    তারপর প্রতিটি ক্যাশিং সার্ভার সিডিএন ইউজ করে প্রতিটি ওয়েবসাইট ক্যাশ করে রাখে। বিভিন্ন দেশে সার্ভার থাকার কারণে যে কোন লোকেশন থেকে ওয়েবসাইট ভিজিট করলে সেই লোকেশনের কাছাকাছি সার্ভার থেকে পেজ লোড হয়। এতে যেমন ওয়েবসাইট লোডিং স্পীড কমে তেমনি ব্যান্ডউইথ অনেক কম খরচ হয়।

    ক্যাশিং সার্ভার গুলো সাধারণত এসএসডি, এইচডিডি অথবা র‍্যাম দিয়ে তৈরি হয়। তবে বর্তমান সময়ের সকল সার্ভার হয় এসএসডি অথবা র‍্যাম দিয়ে তৈরি করা হয়। কারণ এসএসডি এবং র‍্যামে ফাইল রিড এবং রাইট অনেক দ্রুত হয়। এদের মধ্যে বেশীরভাগ সার্ভার র‍্যাম দ্বারা তৈরি। কারণ র‍্যাম এসএসডির থেকে দ্রুত ফাইল রিড এবং রাইট করতে পারে।

    এই তিনটি পদ্ধতিতে সিডিএন কাজ করে। সিডিএন ইউজ করার জন্য আপনাকে কোন সিডিএন প্রোভাইডার থেকে সার্ভিস নিতে হবে, যেমন ক্লাউডফ্লেয়ার । আপনি ফ্রি অথবা পেইড দুই ভাবেই সিডিএন সার্ভিস ব্যবহার করতে পারবেন। সিডিএন সকল প্রকার ওয়েবসাইট যেমন ব্লগার, ওয়েবলি, ওয়ার্ডপ্রেস সহ অন্যান্য সকল ক্ষেত্রে ইউজ করা যায়।

    তবে ওয়ার্ডপ্রেসে সেটআপ অনেক সহজ। ওয়েবসাইটে সিডিএন অ্যাক্টিভ করার জন্য ডোমেইন এবং মূল ওয়েবসাইট ডাটাবেস থেকে কনফিগার করতে হয়। ডোমেইনে সিডিএন নেমসার্ভার ইউজ করতে হয় যাতে কেউ ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে চাইলে সিডিএনের নেমসার্ভার ডিটেক্ট করে এবং ক্যাশ সার্ভারে নিয়ে যায়।

  • ক্যাশ কি?

    টেম্পোরারি স্টোরেজ ফোল্ডারকে ইন্টারনেটের ভাষায় ক্যাশ বলে। যেমন আমরা কোন নতুন ওয়েবসাইট ভিজিট করলে ব্রাউজার ইন্সটালেশন ফোল্ডারে একটি টেম্পোরারি ফোল্ডার তৈরি হয়। যেখানে উক্ত ওয়েবসাইটের সকল ডাটা ডাউনলোড হয়ে থাকে। এতে পরবর্তীতে ওই ওয়েবসাইট ভিজিট করলে সেই ফোল্ডার থেকে রিসোর্স নিয়ে এসে ব্রাউজারে শো করানো হয়।

    ইন্টারনেটের ভাষায় ক্যাশ বলতে কোন ওয়েবসাইটের ফুল কপি ডাউনলোড করে রাখা। ক্যাশ করে রাখার সুবিধা হলো এতে ওয়েবসাইট রিসোর্স বার বার ডাউনলোড করার দরকার পরে না, এতে ওয়েবসাইট রিসোর্স অতি দ্রুত লোড হয়।

Was this article helpful?

Related Articles